The Background:
Updated at 1.10 am (21 March, ’20)
ভারতের সামনে COVID-19 এখন সুবিপুল সঙ্কট নিয়ে হাজির। দ্বিতীয় স্টেজ থেকে তৃতীয় স্টেজের সামনে এই দেশ। আমরা গোটা বিশ্বের পরিস্থিতি দেখছি। প্রতি মুহূর্তে আমরা আপডেটেড হচ্ছি। সবার মধ্যে আতঙ্ক, আশঙ্কা, উদ্বেগের ছায়া। কেউই আমরা এর বাইরে নই।
Indian Council of Medical Research জানাচ্ছে, ২৩৬টি পজিটিভ কেস ধরা পড়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা একদিনে অনেকটা লাফিয়ে বাড়ল। সারা বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা এই মুহূর্তে ২ লক্ষ ৫৫ হাজার ৩০৫। মারা গেছেন ১০ হাজার ৪৪৪ জন।
এর মধ্যেই বাজার থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার উধাও। বাজার ঘুরে পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ এটাই তো বাঁচার একমাত্র নয়। হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে কালোবাজারি হচ্ছে। আমাদের প্রতিনিধিরা কলকাতা-হাওড়া সহ রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখেছেন। মিলছে না এই বস্তুটি। অথচ, সাবান দিয়ে ভাল করে হাত ধুলেই হবে। নিজের পরিচ্ছন্নতার জন্যই হাত ধোয়া প্রয়োজন। COVID-19 না হোক, অপরিচ্ছন্নতার জন্যও নানান রোগ হতে পারে।
এর মধ্যেই নানান উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার বানিয়ে সুলভে দেওয়ার খবর আসছে। পুরুলিয়ায় যেমন রঘুনাথপুর-১ নম্বর ব্লকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা নিজেরাই তৈরি করছেন। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটি তাদের দপ্তরে এক কর্মশালার মাধ্যমে হাতে কলমে গতকাল প্রশিক্ষণ দিয়েছে। বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেছেন, কালোবাজারি বন্ধে রাজ্যসরকারকে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করার মূল উপাদান আইসো প্রোফাইল অ্যালকোহল। এটি যাতে সহজলভ্য হয় এবং সাধারণ মানুষ ঘরেই স্যানিটাইজার করতে পারেন এটি দিয়ে, সেটা দেখা প্রয়োজন।
এদিকে, বাংলা সাংস্কৃতিক মঞ্চ বিনামূল্যে এটি বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংগঠন আজই যাদবপুর, পার্ক সার্কাস ও শ্যামবাজারে এটি বিতরণ করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র ফর্মুলা মেনে তাঁরা তৈরি করছেন এটি। মূলত, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, হুগলীর বিভিন্ন এলাকায় তারা বিতরণ করবে। টার্গেট অটো-টোটো-রিকশাচালক সহ দৈনন্দিন কাজে বেরোতে হয় সেইরকম নিম্নবিত্ত মানুষ। বিনা পয়সায় বিতরণ করা হবে এগুলি।
প্রান্তজন নামে অন্য আরেকটি সংগঠনও উদ্যোগ নিচ্ছে। উত্তর ২৪ পরগণার হাড়োয়া সহ তিনটি ব্লকে তারা হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করবে বলে জানিয়েছে।